ঘুরে আসুন পাথরের বিছানায়

প্রকাশঃ জুন ১৭, ২০১৫ সময়ঃ ৩:২১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাথরের বিছানায় (3)সবুজে আবৃত আর পাহাড়ে ঘেরা মাধবকুন্ড জলপ্রপাতটি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত হতে মাত্র ১০-১৫ মিনিট হাঁটার পথ। তার পরেই পেয়ে যাবেন নিরবে নিভৃতে ঝরে পরা এই দৃষ্টিনন্দন ঝর্ণাটি। তেমন কোন পর্যটক এখানে যায় না বলে ঝর্ণা এলাকাটি নিরবই থাকে সারাবছর।

বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে ঝর্নার চারপাশ, যেন সবুজের মেলা বসেছে এখানে। আর ঝর্নার পানি ঝরে পড়ার শো শো শব্দে সে মেলাকে দিয়েছে ভিন্ন এক সুর।

প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু হতে পাথরের খাড়া পাহাড় বেয়ে শোঁ শোঁ শব্দ করে জলধারা নিচে আছড়ে পড়ছে। নিচে বিছানো পাথরের আঘাতে পানির জলকনা বাতাসে উড়ে উড়ে তৈরি হচ্ছে কুয়াশা।

ঝিরি ঝিরি সে জলকনা চারপাশের পরিবেশকে যেমন শীতল করে তুলছে তেমনি সিক্তও করছে প্রকৃতিকে।পাথরের বিছানায় (2) ঝর্নার পানি নিচে পড়ে ছোট বড় পাথরের ফাঁক গলিয়ে মিশে যাচ্ছে একসাথে। এমন দৃশ্য কেবল হয়তো কল্পনায়ই দেখা যায়। ঝর্নার সম্মুখের বড় পাথরে বসে আনমনে সে দৃশ্য দেখলে হয়তো স্বপ্ন ভেবে ভুল করতে পারেন। কিন্তু এটাই সত্য।

চাইলে ঝর্নার   স্বচ্ছ পানিতে দুহাত বাড়িয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারেন জলস্নানে। সে এক সুখময় অনুভুতি। মাধবকুন্ড হতে পরিকুন্ড আসার পথটা একটু পাথুরে ও জলময়। তবে ভয়ের কিছু নেই, কেবল পায়ের পাতাই ভিজবে। আপনাকে হাঁটতে হবে ছড়া বরাবর। পুরোটা ছড়া পাথর বিছানো। পাথরগুলো সবসময় ভিজে থাকে বলে বেশ পিচ্ছিল। তাই সাবধানে হাঁটতে হবে। যারা মাধবকুন্ড বেড়াতে যেতে চান তাদের জন্য এটি একটি বাড়তি পাওয়া। খুব অল্পবিস্তর লোক এখানে ঘুরতে যায়। আপনিও হতে পারেন তাদের একজন।

যেভাবে যেতে হবে:

প্রথমেই আপনাকে ঢাকা থেকে বাসে সিলেট আসতে হবে, মৌলভীবাজার কিংবা কুলাউড়া। ট্রেনে করে যেতে পারেন সিলেট বা কুলাউড়া। সবচাইতে সহজ পথটি হল ট্রেনে করেপাথরের বিছানায় কুলাউড়া আসা। ট্রেনে কুলাউড়া ষ্টেশনে নেমে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে সরাসরি মাধবকুন্ড পৌঁছাতে পারেন। এতে আপনার খরচ ও পরিশ্রম কম হবে। কুলাউড়ায় নেমে বাসে করেও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কাঁঠালতলী বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশায় মাধবকুন্ড।

দুরত্ব আট কিলোমিটার। এখানে পৌঁছে টিকিট কেটে মাধবকুন্ড এলাকায় প্রবেশ করে সোজা মাধবকুন্ড ঝর্নাগামী রাস্তা ধরে হাঁটতে হবে। কিছু দূর গেলে মাধবকুন্ড ঝর্নার ঠিক আগে বাঁ হাতে একটি শিব মন্দির রয়েছে। এর বিপরীত দিকে একটি রাস্তার পাশে নতুন একটি সিড়ি হয়েছে। ঐ সিড়ি ধরে নেমে গেলে মাধবকুন্ড ঝর্না হতে বয়ে আসা পানির ছড়া। আর ওই ছড়াটির সোজাসুজি পাথর বিছানো ছড়া দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটলেই পরিকুন্ড জলপ্রপাত। পথ চিনতে কষ্ট হলে স্থানীয় লোকজন কিংবা পর্যটন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করলে আপনাকে যাবার পথ বলে দেবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G